সোলাইমান হোসাইন রুবেল, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
২০১৬ সালে পৌর মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই নেত্রকোণা পৌরসভার যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবারেই চোখে পড়ার মতো। তিনি পৌর মেয়রের আসনে বসার পর থেকে উন্নয়নের ছোয়া পেতে শুরু করেন নেত্রকোণা পৌরবাসী।
বিগত সময়ে নেত্রকোনা পৌরসভার রাস্তা, ড্রেন সহ যত নাগরিক সুবিধা থেকে নেত্রকোণা পৌরবাসী বঞ্চিত ছিলো, সেই সুবিধা সহ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান।
বৈশ্বিক মহামারির করোনা মোকাবিলায় আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে যখন অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে স্ব-ঘোষিত হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন, ঠিক তখন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন কর্মহীন মানুষের ধারে ধারে ছুটে গিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন, তিনি হলেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান।
করোনা কালীন সময়ে সরকারি অনুদান ছাড়াই নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে শত শত অসহায় কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে ত্রান পৌঁছে ছিলেন তিনি। এমনকি নগত অর্থ দিয়ে আর্থিক সহায়তা করে কর্মহীন অসহায় মানুষদের পাশে ছিলেন তিনি।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে রাস্তায় ধুলোবালি উড়ার কারণে পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জনদুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে তিনি পৌরসভার নতুন দুটি পানি ছিটানোর গাড়ী উদ্বোধন করেছেন। যা দিয়ে এখন থেকে প্রতিদিন সকাল বেলা ও বিকাল বেলায় জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পানি ছিটিয়ে ধুলোবালি রোধ করা হবে। এবং পৌরবাসীকে মহামারি করোনা প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টি লক্ষ্যে পৌর নাগরিকদের মাঝে মাস্ক ও সাবান বিতরণও করেন তিনি।
একজন সফল মেয়র হয়ে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান নেত্রকোণা পৌরবাসীকে একটি আধুনিক ডিজিটাল পৌরসভা উপহার দিয়েছেন, তার এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজার রাখার জন্য পৌরবাসী আবারও পৌর মেয়র হিসাবে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খানকেই যোগ্য মনে করছেন।
এবিষয়ে আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম খান এর সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করাই ছিলো আমার মূল লক্ষ্য। এখন আমি পৌর মেয়র হয়ে কতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছি এবং জনদুর্ভোগ লাগবে কাজ করেছি তা নেত্রকোণা পৌরবাসী জানেন, আবার যদি আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি উনার সন্মান রেখেই নেত্রকোণা পৌরবাসীর জন্য যতটুকু করার আমি ততটুকু করার চেষ্টা করবো। এবং পৌর বাসীর সুখে দুঃখে সবসময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।